নানা ধরনের আরবি লিপিশৈলী

পৃথিবীর সব দেশে কি একইভাবে আরবি লেখা হয়?

এর উত্তর হলো—না। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন লিপিশৈলীতে আরবি লেখা হয়।

তিউনিসিয়ার প্রবীণ ক্যালিগ্রাফি শিল্পী আমের বেনজেদ্দু হজ করতে গেছেন, এমন সময় দেখেন এক নাইজেরিয়ান অদ্ভুত রকমের কোরআন শরিফ পড়ছেন। কোরআনের অক্ষরগুলো দেখতে হিব্রু ভাষার মতো, খাড়া খাড়া। তিনি ক্যালিগ্রাফি চর্চা করছেন অর্ধশতকের বেশি সময় হবে, শত শত ছাত্র-ছাত্রীকে ক্যালিগ্রাফি শিখিয়েছেন, কিন্তু এমন আরবি লিপিশৈলী কখনোই দেখেননি।

তিনি সাথে সাথে ছবি তুলে রাখেন। পরে ফেসবুকের বন্ধুদের সাথে এই ঘটনা শেয়ার করেন। বন্ধুরা তাকে জানান—এই ধরনের লিপিশৈলীকে ‘খত্তে সুদানি’ বলা হয়। কেউ কেউ ‘খত্তে মাগরিব’ বা ‘খত্তে হাউসায়ি’ও বলে।

পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে, যেমন মালি, সেনেগাল, নাইজার, নাইজেরিয়া ও হাউসা জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই ধরনের আরবি লিপিশৈলীর বহুল ব্যবহার দেখা যায়। এই লিপিশৈলী তাদের প্রাত্যহিক জীবনের অংশ।

আরব দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ‘খত্তে রুকআ’। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে ‘খত্তে ফারসি’-তে আরবি লেখার প্রচলন ছিল। এখনও বিভিন্ন বইতে তার নিদর্শন পাওয়া যায়। তবে, কোরআনের জন্য সব জায়গাতেই ‘খত্তে নাসখ’ লেখা হয় জানতাম, আজকে এই ‘খত্তে সুদানি’ সেই ধারণা পরিবর্তন করে দিল।